একদিনে ঝাড়খন্ড বর্ডারের মাসানজোর ও গ্রীন ভিলেজ টুর

 

ময়ূরাক্ষী নদীর ওপারে মাসানজোর বাঁধটি ঝাড়খণ্ড রাজ্যের দুমকা জেলায়। ক্যান্ডিয়ান সহায়তায় নির্মিত, একে কানাডা বাঁধ বা পিয়ারসন বাঁধও বলা হয়। এটি 1956 সালে চালু হয়েছিল।

বাঁধটি তার বেস থেকে 155 ফুট উঁচু এবং 2170 ফুট দীর্ঘ। জলাশয়ের পুরো জায়গাটি 16,650 একর হয় এবং এটির সঞ্চয় ক্ষমতা 500,000 একর ফুট হয়। মাসানজোর বাঁধ ছাড়াও সিউড়ির কাছে তিলপাড়ায় একটি ব্যারেজ রয়েছে। ব্যারেজটি 1,013 ফুট দীর্ঘ।

এটি ঝাড়খণ্ডের দুমকা থেকে প্রায় ২৪ কিলোমিটার দূরে এবং পশ্চিমবঙ্গের সুরি থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে সুরি-ডুমকা সড়কে। এই রাস্তায় বাস চলাচল করে। পরিবার এবং বন্ধুদের থাকার এবং প্রকৃতি উপভোগ করার জন্য একটি দুর্দান্ত জায়গা।

মাসানজোর ঝাড়খণ্ডের ডুমকা জেলায় অবস্থিত একটি বিখ্যাত পিকনিক স্পট। এই ছোট্ট গ্রামটি দুমকা থেকে প্রায় 31 কিমি দক্ষিণে। 

ময়ূরাক্ষী নদীর উপরে সুরম্য তিলপাড়া ব্যারাজ (কানাডা বাঁধ) একটি বড় অঙ্কন। বাঁধটি পাহাড় এবং বন দ্বারা সীমাবদ্ধ, বেড়াতে যাওয়ার উপযুক্ত জায়গা। ময়ূরাক্ষী ভবন বাংলো এবং পরিদর্শন বাংলো গ্রামে চমৎকার এবং আরামদায়ক থাকার ব্যবস্থা করে। রাস্তা দিয়ে, মাসানজোর ভাকরেশ্বর (59 কিমি), সাঁথিয়া (50 কিলোমিটার), তারাপীঠ (70 কিমি), রামপুরহাট (62 কিমি) এবং দেওঘর (98 কিমি) এর সাথে সংযুক্ত connected মাসানজোর ডেম বা পিয়ারসন ডেম রিভারে ময়ূরাক্ষী দীর্ঘ পাহাড়ের বনভূমি সমান্তরাল পাহাড়ী রেঞ্জের পাদদেশে একটি মনোরম স্থান। এই জায়গাটি মূলত একটি হাইড্রো বৈদ্যুতিক বিদ্যুৎ উত্পাদক কেন্দ্র তবে সময়ের ব্যবধানে এটি পর্যটকদের কাছে একটি জনপ্রিয় কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। ডাউন পাহাড়ের উপর সুন্দর বাগান এবং নদীর তীরে দুটি সুন্দর ডাক-বাংলো তার সৌন্দর্যে মনোমুগ্ধকর।

যদিও এই রাস্তাটা বাইকে করে ট্রিপ করল এক অপূর্ব অনুভূতি প্রদান করে। আমি অনুরোধ করব এই রাস্তা বাইকে করেই পাড়ি দিন।



বাইকে করে যাবার জন্য সিউড়ি রামপুরহাট রোড থেকে ডান দিকে ঘুরিয়ে সোজা 25 কিলোমিটার মত রাস্তা। এই সড়কপথের আশেপাশের পরিবেশ অপূর্ব ছোট ছোট টিলা সুন্দর সড়ক এবং বেশ কিছুটা রাস্তা দু'পা শাড়ি ঘন অরণ্য। এই রাস্তা দিয়ে বাইকে যেতে যেতে মাঝে মাঝে দাঁড়িয়ে পড়তেই পারেন এবং কিছু অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ছবি ক্যামেরাবন্দি করতেই পারেন।

একদম শেষ মুহূর্তের কিছুটা রাস্তা বেশ চড়াই কারণ মেসেঞ্জার এর আশেপাশে বেশকিছু পাহাড়ে ঘেরা এবং ম্যাসেঞ্জারের সেতুটি উপর উঠতে গেলেও কিছুটা চড়াই রাস্তা আছে।

ম্যাসেঞ্জারের সেতুটির উপর বাইক চালানো বারণ কিন্তু হেঁটে অবাধে ভ্রমণ করতে পারেন।

 সেতুর অপর দিকে সামান্য কিছু খাবার ব্যবস্থা ছোটখাটো হোটেল এবং সাথে আছে ম্যাসেঞ্জারের বোটিং করার এক সুবর্ণ সুযোগ অনুরোধ করবো এই সুযোগটি গ্রহণ করুন।

ম্যাসেঞ্জারের বাঁধের উপরে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে দেখতে ঘন্টা দেড়েক অবাধে কেটে যাবে। এরপরই সামান্য কিছু টিফিন করে নিয়ে চলে যেতে পারেন মেসেঞ্জার এর অপর পারে পাহাড়ের কোলঘেঁষে সবুজ অরণ্যে ঘেরা পাহাড়ের কোলে ছোট ছোট গ্রাম দেখার জন্য। এই যাবার রাস্তা কি সত্যিই অপূর্ব একপাশে পাহাড় অপর পাশে ম্যাসেঞ্জারের টলটলে হালকা নীলাভ জল যার উপরে নীল আকাশের ছবি পড়ে অপূর্ব অনুভূতির সৃষ্টি করে।






মেসেঞ্জার থেকে মাত্র সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার পেছনে গিয়ে ডান দিকে রাস্তা ধরে আবার ম্যাসেঞ্জের অপর পাশের রাস্তায় আসা যায়। এই রাস্তাতেই পরে গ্রীন ভিলেজ। ক্যামেরাবন্দী করার মত অপূর্ব কিছু প্রাকৃতিক ছবি যেন দাঁড়িয়ে আছে জলের কোলে পর্যটকদের জন্য।

 প্রায় 6 কিলোমিটার পাহাড়ের গা ঘেঁষে আকাবাকা পথে নদীর জলের মতো ঢেউ খেলা রাস্তায় বাইকে ভ্রমণ করতে সত্যিই খুব সুন্দর লাগছিল। মেসেঞ্জার গেলে যদি এই রাস্তায় বাইক করতে পারেন তার অনুভূতি ফিরে এসে কমেন্টে লিখতে পারেন। হলফ করে বলছি খুব আনন্দ পাবেন।

রাস্তায় যাবার ম্যাপ টি নিচে দিলাম দেখে নেবেন।



Comments